Fuel Price: দেশের নাগরিকদের কাছে ক্রমে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দাম। এই দুই অত্যাবশ্যকীয় জ্বালানির অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলেছে আমজনতার দৈনন্দিন জীবনে। সারা দেশে মূল্যবৃদ্ধি যেমন চরম আকার নিয়েছে, তার মধ্যে প্রয়োজনীয় জ্বালানির দাম কমার আশা ত্যাগ করেছে ভারতবাসী। তবে এবার খবর পাওয়া যাচ্ছে, জ্বালানির দাম কমতে চলেছে শীঘ্রই। খুব সম্ভবত ভোটের পরেই জ্বালানির দামে বিরাট ফের ফের হতে চলেছে। জ্বালানির দাম কমার সম্ভাবনা প্রবল।
সাধারণত অপরিশোধিত তেলের ওপর কেন্দ্রের তরফে কর বসানো হয়। ট্যাক্স বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে সেক্ষেত্রে জ্বালানির দামে প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি অপরিশোধিত তেলের উপর থেকে উইন্ডফল ট্যাক্স কমিয়েছে কেন্দ্র। এই করের পরিমাণ আগে ছিল ৯৬০০ টাকা। তবে সরকার করের পরিমাণ কমিয়ে এনেছে ৮৬০০ টাকায়। উইন্ডফল করের পরিমাণ কমলো বলে, ধারণা করা যাচ্ছে যে এক ধাক্কায় কমতে পারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।
এপ্রিল মাসে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছিল অপরিশোধিত তেলের দাম। সেই দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গত ১৬ এপ্রিল অপরিশোধিত তেলের ওপর উইন্ডফল ট্যাক্স বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময় টন প্রতি ক্রুড অয়েলে কর ৬৮০০ টাকা থেকে এক লাফে বেড়ে হয় ৯৬০০ টাকা। ফলে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পরিস্থিতিতে অশনি সংকেত নজরে পড়েছিল ভারতবাসীর।
সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বাজারে অনেকটা কমেছে ক্রুড অয়েলের দাম। যার জেরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি আগের মতো লাভ করতে পারছে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘উইন্ডফল ট্যাক্স’ কমানো উপযুক্ত বলে মনে করেছে কেন্দ্র। এক ধাক্কায় প্রায় বারোশো টাকা কর কমানোর ফলে সরাসরি লাভবান হবে ONGC ও Oil India Ltd কোম্পানির মতো অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। কারণ, অপরিশোধিত তেলের উপর থেকে কর হ্রাস পেতে কম টাকা জমা দিতে হবে তাঁদের।
ফলে ধারণা করা যায়, তেল সরবরাহকারী সংস্থাগুলি লাভবান হতে কমতে চলেছে ভারতবর্ষে জ্বালানির মূল্য। এখন দেশজুড়ে চলছে লোকসভা ভোটের মহড়া। খুব সম্ভবত ভোট মিটলেই কমবে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। ফলে জনসাধারণের পকেটের টান কমবে, স্বস্তির কারণ হবে সবার জন্যই।