সম্প্রতি এক নতুন সমস্যায় পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাতিল করা হচ্ছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। ডাক যোগে চিঠি এলেই ভয়ে কাঁটা রাজ্যবাসী। আধার কার্ড বাতিল হওয়ায় তথ্য থাকছে চিঠিতে। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে এও উল্লেখ করা হচ্ছে যে, আধার আইনের ২৮-এ ধারায় এই কার্ড নিষ্ক্রিয় হচ্ছে। অতএব নতুন করে আধার কার্ড বানাতে হবে অথবা আধারের সমস্যা নথিভুক্ত করতে হবে। এমতাবস্থায় নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনার পিছনে তিনি রাজনীতিতে অভিসন্ধিকেই দায়ী করেন। বঙ্গবিসীর আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবার এনআরসি চালু করেছে। যদিও পরিকল্পনাকে যে বাস্তবায়ন হতে দেবেন না, তা দৃঢ় কন্ঠে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে তিনি একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করবেন বলেও উল্লেখ করেন। তবে এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পশ্চিমবঙ্গবাসীকে তিনি বিকল্প আধার কার্ড (Aadhaar Alternative Card) দেবেন। এই আধার কার্ডেও থাকবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানালেন, যে সকল মানুষের আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে, তাঁদের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু হবে। এই পোর্টাল মারফত রাজ্যবাসী আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়তার সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই নতুন পোর্টালটির নাম ‘আধার সমস্যার পোর্টাল’। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আধার লিঙ্ক কেটে গেলেও কোনো মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না। তবে দেশবাসীর নাগরিকত্ব প্রমাণের ডকুমেন্ট আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়তার সমস্যা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি করা হবে অনলাইন অভিযোগ জানানোর মাধ্যম। এতকিছুর পর এবার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়া বঙ্গবাসীর হাতে বিকল্প আধার কার্ড তুলে দেবে রাজ্য সরকার।
ইটিমধ্যে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়া মানুষদের নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি গরিব মানুষকে বলব, কোনো অসহায়তা বোধ করবেন না। শুধু আমাদের জানান। আমরা একটা বিকল্প কার্ড দেব। যার ফলে আপনাদের নাগরিকত্বও রক্ষা হবে আবার সমস্ত সরকারি পরিষেবার সুবিধা আপনারা পাবেন। বর্ধমান ও বীরভূম জেলার অনেকেরই আধার কার্ডের লিঙ্ক কাটা হয়েছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের জেলায় জেলায় এই সমস্যায় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এই সমস্যার আপাত সমাধানসূত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। যদিও তার উত্তর এখনও আসেনি।